০১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রিজার্ভ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সীমা অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিন শেষে দেশের মোট গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩১ বিলিয়ন ডলার। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্দেশনা অনুযায়ী হিসাব করলে এই রিজার্ভ দাঁড়ায় ২৬.৮ বিলিয়ন ডলার।

এর আগে, গত ৭ সেপ্টেম্বর এশীয় ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (ACU)-এর প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলারের বিল পরিশোধের কারণে রিজার্ভ নেমে গিয়েছিল ৩০.৩০ বিলিয়ন ডলারে। সেই ঘাটতি পুষিয়ে রিজার্ভ আবার বেড়ে বর্তমান পর্যায়ে পৌঁছেছে।

রিজার্ভ গণনার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। গ্রস রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিলে যে অর্থ দাঁড়ায়, সেটিই নিট রিজার্ভ। তবে একটি আরও গুরুত্বপূর্ণ সূচক হলো Net International Reserve (NIR) বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এই হিসাব থেকে ACU তে জমা থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর ক্লিয়ারিং হিসাবের অর্থ এবং ACU-এর বিল বাদ দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যয়যোগ্য নিট রিজার্ভ বর্তমানে প্রায় ২১ বিলিয়ন ডলার।

বর্তমান আমদানি ব্যয়ের ধারা ধরে হিসাব করলে, যেখানে মাসিক গড়ে প্রায় সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়, এই রিজার্ভ দিয়ে চার মাসের বেশি আমদানি খরচ মেটানো সম্ভব। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান রিজার্ভকে পর্যাপ্ত ধরা হয়।

উল্লেখযোগ্য যে, ২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বকালের সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল। কিন্তু পরে অর্থপাচার, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট, কোভিড-পরবর্তী আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি, বড় আকারের বাণিজ্য ঘাটতি এবং চলতি হিসাবের ঘাটতির কারণে রিজার্ভে ধীরে ধীরে চাপ সৃষ্টি হয়। ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমতে থাকায় আমদানির ব্যয়ও বাড়তে থাকে। এ সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারে ডলার সরবরাহ করতে শুরু করলে রিজার্ভ আরও কমতে থাকে।

এই প্রেক্ষাপটেই ২০২২ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ সরকার রিজার্ভের চাপ সামাল দিতে ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তা চেয়ে আইএমএফের কাছে আবেদন করে।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

রিজার্ভ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম

প্রকাশিত হয়েছে: ০৮:৫৬:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সীমা অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিন শেষে দেশের মোট গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩১ বিলিয়ন ডলার। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্দেশনা অনুযায়ী হিসাব করলে এই রিজার্ভ দাঁড়ায় ২৬.৮ বিলিয়ন ডলার।

এর আগে, গত ৭ সেপ্টেম্বর এশীয় ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (ACU)-এর প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলারের বিল পরিশোধের কারণে রিজার্ভ নেমে গিয়েছিল ৩০.৩০ বিলিয়ন ডলারে। সেই ঘাটতি পুষিয়ে রিজার্ভ আবার বেড়ে বর্তমান পর্যায়ে পৌঁছেছে।

রিজার্ভ গণনার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। গ্রস রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিলে যে অর্থ দাঁড়ায়, সেটিই নিট রিজার্ভ। তবে একটি আরও গুরুত্বপূর্ণ সূচক হলো Net International Reserve (NIR) বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এই হিসাব থেকে ACU তে জমা থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর ক্লিয়ারিং হিসাবের অর্থ এবং ACU-এর বিল বাদ দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যয়যোগ্য নিট রিজার্ভ বর্তমানে প্রায় ২১ বিলিয়ন ডলার।

বর্তমান আমদানি ব্যয়ের ধারা ধরে হিসাব করলে, যেখানে মাসিক গড়ে প্রায় সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়, এই রিজার্ভ দিয়ে চার মাসের বেশি আমদানি খরচ মেটানো সম্ভব। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান রিজার্ভকে পর্যাপ্ত ধরা হয়।

উল্লেখযোগ্য যে, ২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বকালের সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল। কিন্তু পরে অর্থপাচার, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট, কোভিড-পরবর্তী আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি, বড় আকারের বাণিজ্য ঘাটতি এবং চলতি হিসাবের ঘাটতির কারণে রিজার্ভে ধীরে ধীরে চাপ সৃষ্টি হয়। ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমতে থাকায় আমদানির ব্যয়ও বাড়তে থাকে। এ সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারে ডলার সরবরাহ করতে শুরু করলে রিজার্ভ আরও কমতে থাকে।

এই প্রেক্ষাপটেই ২০২২ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ সরকার রিজার্ভের চাপ সামাল দিতে ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তা চেয়ে আইএমএফের কাছে আবেদন করে।