০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পশ্চিমা দেশগুলো ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র স্বীকৃতি দিচ্ছে, ট্রাম্প প্রতিবাদে

ফিলিস্তিনকে আগামী সপ্তাহে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ; তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই স্বীকৃতির বিরোধিতা জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, এ বিষয়ে তিনি ও প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে এবং এটি তাদের দ্বিমতের একটি বিষয়।

ট্রাম্প সংবাদকর্মীদের জানান, গাজায় বন্দি থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি একটি অগ্রাধিকার। তিনি বলেন, “একজন নয়, দুজন নয়—আমরা আপনাকে কাল তিনজনকে মুক্তি দেব… এমনটা হবে না। আমাদের এখনই জিম্মিদের মুক্তি করতে হবে। যা ইসরায়েলিরা চায়। আমরা চাই গাজায় লড়াই বন্ধ হোক।” ট্রাম্প গাজা ও হামাস-ইসরায়েল সংঘাতকে বিশ্বজোড়া যুদ্ধের মতো জটিল ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, যুদ্ধে কখন কি ঘটবে তা বলা কঠিন। তিনি বলেন, “গাজা, ইসরায়েল — এখানে যা হচ্ছে আমরা কঠোরভাবে কাজ করছি… এটি জটিল; এর সমাধান হবে, কিন্তু যুদ্ধ সম্পর্কে আপনি আসলে জানেন না কী হয়।”

অপরদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার গাজার বর্তমান মানবিক পরিস্থিতিকে “অসহনীয়” আখ্যায়িত করে হামাসকে আরো দ্রুত এ বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা নিতে বলেছেন এবং হতাহতের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে তৎপরতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। স্টারমার হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, যুদ্ধশেষে গাজায় হামাসের কোনো স্থান থাকবে না। তিনি আরও জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিতে হামাসকে পদক্ষেপ নিতে হবে।

এ সংবাদকে ঘিরে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে উত্তেজনা তীব্র হচ্ছিল—একদিকে পশ্চিমা কয়েকটি দেশের সম্ভাব্য স্বীকৃতি উদ্যোগ, অন্যদিকে মার্কিন প্রশাসনের আপত্তি ও গাজার ওপর চলমান আঘাতের মধ্যে অবস্থান নির্ধারণে নানা ধরন কূটনৈতিক চাপ দেখা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, যে সময়ে ফিলিস্তিন স্বীকৃতি নিয়ে দেশগুলো এগোচ্ছে, তাতে মধ্যপ্রাচ্য নীতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নতুনভাবে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রয়েছে।

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

পশ্চিমা দেশগুলো ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র স্বীকৃতি দিচ্ছে, ট্রাম্প প্রতিবাদে

প্রকাশিত হয়েছে: ১১:২২:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফিলিস্তিনকে আগামী সপ্তাহে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ; তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই স্বীকৃতির বিরোধিতা জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, এ বিষয়ে তিনি ও প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে এবং এটি তাদের দ্বিমতের একটি বিষয়।

ট্রাম্প সংবাদকর্মীদের জানান, গাজায় বন্দি থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি একটি অগ্রাধিকার। তিনি বলেন, “একজন নয়, দুজন নয়—আমরা আপনাকে কাল তিনজনকে মুক্তি দেব… এমনটা হবে না। আমাদের এখনই জিম্মিদের মুক্তি করতে হবে। যা ইসরায়েলিরা চায়। আমরা চাই গাজায় লড়াই বন্ধ হোক।” ট্রাম্প গাজা ও হামাস-ইসরায়েল সংঘাতকে বিশ্বজোড়া যুদ্ধের মতো জটিল ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, যুদ্ধে কখন কি ঘটবে তা বলা কঠিন। তিনি বলেন, “গাজা, ইসরায়েল — এখানে যা হচ্ছে আমরা কঠোরভাবে কাজ করছি… এটি জটিল; এর সমাধান হবে, কিন্তু যুদ্ধ সম্পর্কে আপনি আসলে জানেন না কী হয়।”

অপরদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার গাজার বর্তমান মানবিক পরিস্থিতিকে “অসহনীয়” আখ্যায়িত করে হামাসকে আরো দ্রুত এ বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা নিতে বলেছেন এবং হতাহতের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে তৎপরতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। স্টারমার হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, যুদ্ধশেষে গাজায় হামাসের কোনো স্থান থাকবে না। তিনি আরও জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিতে হামাসকে পদক্ষেপ নিতে হবে।

এ সংবাদকে ঘিরে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে উত্তেজনা তীব্র হচ্ছিল—একদিকে পশ্চিমা কয়েকটি দেশের সম্ভাব্য স্বীকৃতি উদ্যোগ, অন্যদিকে মার্কিন প্রশাসনের আপত্তি ও গাজার ওপর চলমান আঘাতের মধ্যে অবস্থান নির্ধারণে নানা ধরন কূটনৈতিক চাপ দেখা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, যে সময়ে ফিলিস্তিন স্বীকৃতি নিয়ে দেশগুলো এগোচ্ছে, তাতে মধ্যপ্রাচ্য নীতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নতুনভাবে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রয়েছে।