১০:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাঁটাতারে ঝুলে থাকা ইতিহাসের দায়, সামান্য সান্ত্বনা পেল পরিবার

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এক কিশোরীর নিথর দেহ কাঁটাতারে ঝুলে থাকার দৃশ্য পুরো জাতিকে শোকাহত ও ক্ষুব্ধ করেছিল। সেই কিশোরী ফেলানী, যাকে ২০১১ সালের জানুয়ারিতে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করে। সীমান্তের কাঁটাতারে তার ঝুলে থাকা রক্তাক্ত লাশ হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সহিংসতার ভয়াবহ প্রতীক।

বছর ঘুরে গেছে, কিন্তু সেই ক্ষত এখনও শুকায়নি। ফেলানীর মৃত্যুর দুঃসহ স্মৃতি আজও সীমান্তবাসীর হৃদয়ে রক্তাক্ত ক্ষতচিহ্ন হয়ে রয়ে গেছে। তবে দীর্ঘ সময় পর একটি খবর এনে দিলো খানিকটা সান্ত্বনা—ফেলানীর ভাই এবার যোগ দিয়েছেন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবিতে।

এই নিয়োগের মাধ্যমে কোনোভাবেই ফেলানীর জীবনকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়, তার অমূল্য রক্তের মূল্য শোধও করা যাবে না। শুধু বিজিবি নয়, গোটা বাংলাদেশই সেই দায় শোধ করতে পারবে না। তবে এই চাকরিকে অনেকেই একটি প্রতীকী দায়মুক্তি হিসেবে দেখছেন। যেন রাষ্ট্র বলছে—“আমরা ভুলে যাইনি।”

ফেলানীর ভাই বিজিবির ইউনিফর্ম পরে দাঁড়ালে শুধু একটি চাকরির খবর নয়, বরং এটি হবে প্রতিরোধের এক স্মারক, সীমান্তের রক্তের ইতিহাসে একটি ছোট্ট ন্যূনতম সম্মান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে লিখেছেন—“ফেলানীর লাশের মূল্য বিজিবি দিতে পারবে না, তবে ভাইকে চাকরি দিয়ে আমরা সবাই কিছুটা হলেও দায়মুক্তি পেলাম।”

এই ঘটনা সীমান্তে শহীদ হওয়া একটি পরিবারের প্রতি রাষ্ট্রের শ্রদ্ধা, সম্মান এবং ইতিহাসকে বয়ে চলার এক নতুন বার্তা

ট্যাগ

সাইয়েদুল ইস্তেগফার : সর্বশ্রেষ্ঠ ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া

কাঁটাতারে ঝুলে থাকা ইতিহাসের দায়, সামান্য সান্ত্বনা পেল পরিবার

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:০৮:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এক কিশোরীর নিথর দেহ কাঁটাতারে ঝুলে থাকার দৃশ্য পুরো জাতিকে শোকাহত ও ক্ষুব্ধ করেছিল। সেই কিশোরী ফেলানী, যাকে ২০১১ সালের জানুয়ারিতে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করে। সীমান্তের কাঁটাতারে তার ঝুলে থাকা রক্তাক্ত লাশ হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সহিংসতার ভয়াবহ প্রতীক।

বছর ঘুরে গেছে, কিন্তু সেই ক্ষত এখনও শুকায়নি। ফেলানীর মৃত্যুর দুঃসহ স্মৃতি আজও সীমান্তবাসীর হৃদয়ে রক্তাক্ত ক্ষতচিহ্ন হয়ে রয়ে গেছে। তবে দীর্ঘ সময় পর একটি খবর এনে দিলো খানিকটা সান্ত্বনা—ফেলানীর ভাই এবার যোগ দিয়েছেন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবিতে।

এই নিয়োগের মাধ্যমে কোনোভাবেই ফেলানীর জীবনকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়, তার অমূল্য রক্তের মূল্য শোধও করা যাবে না। শুধু বিজিবি নয়, গোটা বাংলাদেশই সেই দায় শোধ করতে পারবে না। তবে এই চাকরিকে অনেকেই একটি প্রতীকী দায়মুক্তি হিসেবে দেখছেন। যেন রাষ্ট্র বলছে—“আমরা ভুলে যাইনি।”

ফেলানীর ভাই বিজিবির ইউনিফর্ম পরে দাঁড়ালে শুধু একটি চাকরির খবর নয়, বরং এটি হবে প্রতিরোধের এক স্মারক, সীমান্তের রক্তের ইতিহাসে একটি ছোট্ট ন্যূনতম সম্মান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে লিখেছেন—“ফেলানীর লাশের মূল্য বিজিবি দিতে পারবে না, তবে ভাইকে চাকরি দিয়ে আমরা সবাই কিছুটা হলেও দায়মুক্তি পেলাম।”

এই ঘটনা সীমান্তে শহীদ হওয়া একটি পরিবারের প্রতি রাষ্ট্রের শ্রদ্ধা, সম্মান এবং ইতিহাসকে বয়ে চলার এক নতুন বার্তা