নিউজিল্যান্ডে নাগরিকরা ব্যাপকহারে দেশ ছাড়ায় বিদেশি কর্মীদের বসবাসের নিয়ম সহজ করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। কর্মক্ষেত্রে সৃষ্ট সংকট ও অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিউজিল্যান্ডের অর্থনৈতিক উন্নয়নমন্ত্রী নিকোলা উইলিস বলেন, “ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের জানাচ্ছে যে দক্ষ বিদেশি কর্মীরা এখানে বসবাসের সুযোগ পাচ্ছেন না। অথচ তাদের আমাদের অর্থনীতির জন্য জরুরি প্রয়োজন।”

সরকার জানিয়েছে, ২০২৬ সালের মাঝামাঝি থেকে বিদেশিদের বসবাস সহজ করতে দুটি নতুন নিয়ম চালু হবে—
১. দক্ষ কর্মীদের জন্য বিধান

• কমপক্ষে পাঁচ বছরের প্রাসঙ্গিক অভিজ্ঞতা।

• অন্তত দুই বছর নিউজিল্যান্ডে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

• প্রতি ঘণ্টায় দেশটির গড় বেতনের ১.১ গুণ আয় থাকতে হবে।

২. কারিগরি পেশার কর্মীদের জন্য বিধান

• লেভেল ৪ বা তার বেশি যোগ্যতার সার্টিফিকেট।

• কমপক্ষে চার বছরের অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে ১৮ মাস নিউজিল্যান্ডে কাজ।

• ঘণ্টাপ্রতি আয় দেশটির গড় বেতনের সমান বা তার বেশি হতে হবে।

অভিবাসন মন্ত্রী এরিকা স্ট্যানফোর্ড বলেছেন, নতুন নিয়ম অভিজ্ঞ কর্মীদের ধরে রাখতে সহায়তা করবে। তার ভাষায়, “কারিগরি দক্ষতার স্বীকৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির মতোই গুরুত্বপূর্ণ।”

দেশ ছাড়ছে নাগরিকরা
২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত ৭৩ হাজার ৪০০ জন নিউজিল্যান্ড ছেড়েছেন। বিপরীতে দেশে ফিরেছেন মাত্র ২৫ হাজার ৮০০ জন।

বিরোধিতা করছে বিরোধী দল
নিউজিল্যান্ড ফার্স্ট দলের নেতা উইনস্টন পিটার্স অভিযোগ করেছেন, দেশটি এখন অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার পথ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমরা বিদেশি অভিবাসীদের প্রশিক্ষণ দিই, দক্ষ করে তুলি, পরিবারের দেখাশোনা করি, অথচ তারা শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় চলে যায়।”

তার দাবি, অভিবাসন নীতি এমন হওয়া উচিত যা স্থানীয় ব্যবসা ও কর্মীদের জন্য উপকারী হবে, কেবল অভিবাসীর সংখ্যা বাড়াবে না।