০১:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিউইয়র্কে বৈশ্বিক সম্মেলনে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান এবং আল আকসা অঞ্চলে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘ, ফ্রান্স ও সৌদি আরবের উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আয়োজিত বৈশ্বিক সম্মেলন শেষ হয়েছে।

সম্মেলন শেষে ফ্রান্স ও সৌদি আরব যৌথভাবে ইসরায়েলের জন্য একটি কঠোর বার্তা ঘোষণা করে। তারা জানায়, পশ্চিম তীর ইসরায়েলের জন্য এখন ‘রেড লাইন’। পশ্চিম তীরে যে কোনো ধরনের সম্প্রসারণ কার্যক্রম হলে তার গুরুতর পরিণতি হবে এবং ইসরায়েলের সঙ্গে বিদ্যমান শান্তিচুক্তি ও সহযোগিতার নানা চুক্তি ঝুঁকির মুখে পড়বে।

ঘোষণাপত্রে বলা হয়, ইসরায়েলকে অবিলম্বে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে এবং গাজায় আটক সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে। একইসঙ্গে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা, ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি এবং মানবিক সহায়তার অবাধ প্রবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।

এছাড়া পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে গাজা ও পশ্চিম তীর মিলিয়ে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলো একমত হয়। তবে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাসকে অস্ত্র সমর্পণ ও প্রশাসন থেকে সরে দাঁড়াতে আহ্বান জানানো হয় ঘোষণাপত্রে।

প্রায় দুই মাস প্রস্তুতির পর গত সোমবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাধারণ পরিষদ মিলনায়তনে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তবে ইসরায়েল ও তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র সম্মেলনটি বর্জন করে। ইসরায়েলের জাতিসংঘ প্রতিনিধি ড্যানি ডেনন একে ‘সার্কাস’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “এ সম্মেলনের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে।”

অন্যদিকে, সম্মেলনে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, অ্যান্ডোরা ও মোনাকো ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়। এর আগে যুক্তরাজ্য ও পর্তুগাল একই ঘোষণা দেয়।

সম্মেলনের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, “আমরা চাই আল আকসা অঞ্চলে পাশাপাশি দুটি রাষ্ট্র থাকবে— একটি হবে ইসরায়েল, অপরটি ফিলিস্তিন। দু’পক্ষই একে অপরকে স্বীকৃতি দেবে এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের ভিত্তিতে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।”

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

নিউইয়র্কে বৈশ্বিক সম্মেলনে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:৫৩:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান এবং আল আকসা অঞ্চলে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘ, ফ্রান্স ও সৌদি আরবের উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আয়োজিত বৈশ্বিক সম্মেলন শেষ হয়েছে।

সম্মেলন শেষে ফ্রান্স ও সৌদি আরব যৌথভাবে ইসরায়েলের জন্য একটি কঠোর বার্তা ঘোষণা করে। তারা জানায়, পশ্চিম তীর ইসরায়েলের জন্য এখন ‘রেড লাইন’। পশ্চিম তীরে যে কোনো ধরনের সম্প্রসারণ কার্যক্রম হলে তার গুরুতর পরিণতি হবে এবং ইসরায়েলের সঙ্গে বিদ্যমান শান্তিচুক্তি ও সহযোগিতার নানা চুক্তি ঝুঁকির মুখে পড়বে।

ঘোষণাপত্রে বলা হয়, ইসরায়েলকে অবিলম্বে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে এবং গাজায় আটক সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে। একইসঙ্গে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা, ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি এবং মানবিক সহায়তার অবাধ প্রবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।

এছাড়া পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে গাজা ও পশ্চিম তীর মিলিয়ে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলো একমত হয়। তবে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাসকে অস্ত্র সমর্পণ ও প্রশাসন থেকে সরে দাঁড়াতে আহ্বান জানানো হয় ঘোষণাপত্রে।

প্রায় দুই মাস প্রস্তুতির পর গত সোমবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাধারণ পরিষদ মিলনায়তনে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তবে ইসরায়েল ও তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র সম্মেলনটি বর্জন করে। ইসরায়েলের জাতিসংঘ প্রতিনিধি ড্যানি ডেনন একে ‘সার্কাস’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “এ সম্মেলনের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে।”

অন্যদিকে, সম্মেলনে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, অ্যান্ডোরা ও মোনাকো ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়। এর আগে যুক্তরাজ্য ও পর্তুগাল একই ঘোষণা দেয়।

সম্মেলনের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, “আমরা চাই আল আকসা অঞ্চলে পাশাপাশি দুটি রাষ্ট্র থাকবে— একটি হবে ইসরায়েল, অপরটি ফিলিস্তিন। দু’পক্ষই একে অপরকে স্বীকৃতি দেবে এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের ভিত্তিতে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।”