
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ছব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে হাজারও মানুষকে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ আর কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। তিনি স্পষ্ট করে জানান, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম ইতোমধ্যে নিষিদ্ধ হয়েছে এবং বিচারিক প্রক্রিয়ায় তাদের দল হিসেবে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় শহীদ জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরিতে এনসিপি সুনামগঞ্জ জেলা ও উপজেলা কমিটির সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, “বিপ্লবের জন্য যারা লড়াই করেছে, যারা আন্দোলনের পক্ষে ছিল তারা এবং ছাত্রজনতা কখনোই ফ্যাসিস্টদের সঙ্গে এক কাঠামোয় কাজ করতে পারে না। কেউ যদি আওয়ামী লীগ বা তাদের দোসরদের বিরোধীদল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চিন্তা করে কিংবা কোনো দেশ বা এজেন্সির সঙ্গে গোপন সমঝোতার চেষ্টা করে তবে জনগণ তাদের বয়কট করবে।”
তিনি আরও বলেন, মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার সামিল হবে। আর জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে আগামীর বাংলাদেশে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না। এ সময় তিনি ভারতীয় প্রভাবের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়ে বলেন, “ভারতের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে কেউ আর বাংলাদেশে ক্ষমতায় বসতে পারবে না। কোনো রাজনৈতিক দলকে ছোট করে কিংবা টিটকারি করে তারাও ভবিষ্যতে ভালো পরিণতি পাবে না।”
সারজিস আলম জানান, সুনামগঞ্জ জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সেখানে স্পষ্টভাবে জানিয়েছি, সুনামগঞ্জে যারা জুলাই এবং তার আগে বিভিন্ন অন্যায়-অপকর্মে জড়িত ছিল তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। কোনো নেতার সুপারিশে নিরপরাধ কেউ হয়রানির শিকার হবে না এবং অপরাধীরাও যেন ছাড় না পায়।”
তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমানে সুনামগঞ্জে মামলা নিয়ে বাণিজ্য চলছে। এ ধরনের অনিয়ম যাতে আর শোনা না যায় সে বিষয়ে প্রশাসনকে সতর্ক করে দেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক এহতেশাম হক, যুগ্ম সদস্য সচিব প্রীতম দাস, সুনামগঞ্জ কমিটির প্রধান সমন্বয়ক দেওয়ান সাজাউর রাজা চৌধুরী সুমনসহ জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মীরা।