০৪:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ আরও কয়েক দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি

নিউয়র্কের এক সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের প্রেক্ষাপটে গত কয়েক দিন ধরে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, মোনাকো ও আন্দোরা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি ঘোষণা করেছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে বর্তমানে ১৫৭টি জাতিসংঘ সদস্য দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃত রাষ্ট্র হিসেবে গণ্য করছে।

এই আন্দোলনটির উদ্দেশ্য হলো গাজায় চলমান যুদ্ধ ও ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিকে আন্তর্জাতিকভাবে শক্তিশালী সমর্থন দেওয়া। বিশেষ করে পশ্চিমা ও ইউরোপীয় দেশগুলোর অংশগ্রহণ এ পরিবর্তনকে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক দিক থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।

উল্লেখযোগ্য দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং পর্তুগাল সম্প্রতি স্বীকৃতি ঘোষণা করেছে, যা ইসরায়েল ও তার পুরাতন মিত্রদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

স্বীকৃতি প্রদানের ফলে ফিলিস্তিনকে আন্তর্জাতিক ফোরামে কার্যকরভাবে অংশগ্রহণ, দূতাবাস স্থাপন এবং আন্তর্জাতিক আইনগত প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ আরও প্রসারিত হতে পারে।  

তবে এ সিদ্ধান্ত ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া জাগিয়েছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, এই স্বীকৃতি “হামাসকে পুরস্কার” হিসেবে বিবেচিত হবে এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন তাদের স্বার্থবিরোধী হবে।

এই ক্রমবর্ধমান স্বীকৃতি বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিনি অধিকারের সংলাপকে শক্তি দিচ্ছে এবং “দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান” চালু রাখার রাষ্ট্রগুলোর অবস্থানকে পুনর্ব্যক্ত করছে। তবে বাস্তব পরিবর্তন ঘটাতে এটি শুধু এক অংশ — তা সফল হতে হলে আইনি, রাজনৈতিক ও মানবিক উদ্যোগও সমান্তরালভাবে চালিয়ে যেতে হবে।

ট্যাগ

ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ আরও কয়েক দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:২২:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিউয়র্কের এক সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের প্রেক্ষাপটে গত কয়েক দিন ধরে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, মোনাকো ও আন্দোরা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি ঘোষণা করেছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে বর্তমানে ১৫৭টি জাতিসংঘ সদস্য দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃত রাষ্ট্র হিসেবে গণ্য করছে।

এই আন্দোলনটির উদ্দেশ্য হলো গাজায় চলমান যুদ্ধ ও ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিকে আন্তর্জাতিকভাবে শক্তিশালী সমর্থন দেওয়া। বিশেষ করে পশ্চিমা ও ইউরোপীয় দেশগুলোর অংশগ্রহণ এ পরিবর্তনকে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক দিক থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।

উল্লেখযোগ্য দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং পর্তুগাল সম্প্রতি স্বীকৃতি ঘোষণা করেছে, যা ইসরায়েল ও তার পুরাতন মিত্রদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

স্বীকৃতি প্রদানের ফলে ফিলিস্তিনকে আন্তর্জাতিক ফোরামে কার্যকরভাবে অংশগ্রহণ, দূতাবাস স্থাপন এবং আন্তর্জাতিক আইনগত প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ আরও প্রসারিত হতে পারে।  

তবে এ সিদ্ধান্ত ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া জাগিয়েছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, এই স্বীকৃতি “হামাসকে পুরস্কার” হিসেবে বিবেচিত হবে এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন তাদের স্বার্থবিরোধী হবে।

এই ক্রমবর্ধমান স্বীকৃতি বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিনি অধিকারের সংলাপকে শক্তি দিচ্ছে এবং “দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান” চালু রাখার রাষ্ট্রগুলোর অবস্থানকে পুনর্ব্যক্ত করছে। তবে বাস্তব পরিবর্তন ঘটাতে এটি শুধু এক অংশ — তা সফল হতে হলে আইনি, রাজনৈতিক ও মানবিক উদ্যোগও সমান্তরালভাবে চালিয়ে যেতে হবে।