১০:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনার ফোনালাপ ও ডিজিটাল আলামত মুছে ফেলার অভিযোগ

জুলাই-আগস্ট ২০২৪-এর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ক্রমশ সরকার পতনের দাবিতে রূপ নেয়। এই সময় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায়, যোগাযোগের একমাত্র ভরসা হয়ে ওঠে ফোন কল। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সময় তার এমপি, মন্ত্রী ও দলীয় নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন এবং আন্দোলন দমনের নির্দেশনা দিতেন।

প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে জানা গেছে, ৫ আগস্ট ২০২৪-এ শেখ হাসিনা ভারতের দিকে পালানোর পর তার ব্যবহৃত চারটি ফোনের কল রেকর্ডসহ অসংখ্য ডিজিটাল আলামত মুছে ফেলা হয়। এটি allegedly করেন ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) তৎকালীন মহাপরিচালক জিয়াউল আহসানের সহযোগী।

বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা জানিয়েছেন, শুধু কল রেকর্ডই নয়, অডিও-ভিডিওসহ অন্যান্য ডিজিটাল প্রমাণও মুছে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে এসব আলামত উদ্ধারের চেষ্টা চলছে, এবং প্রাথমিকভাবে চারটি নম্বর নিশ্চিতভাবে শেখ হাসিনার বলে শনাক্ত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সাবেক এক পরিকল্পনা মন্ত্রীর কলও নষ্ট করা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালে ইতিমধ্যেই শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা-এর সাক্ষ্যগ্রহণ চলেছে। বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তার দাখিল করা ফোনালাপের মধ্যে উঠে এসেছে আন্দোলন দমনে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনার ইঙ্গিত, যেমন: আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো, হেলিকপ্টার দিয়ে বোম্বিং, এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আগুন দিয়ে ভয় সৃষ্টির পরিকল্পনা।

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

শেখ হাসিনার ফোনালাপ ও ডিজিটাল আলামত মুছে ফেলার অভিযোগ

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:৩৫:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জুলাই-আগস্ট ২০২৪-এর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ক্রমশ সরকার পতনের দাবিতে রূপ নেয়। এই সময় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায়, যোগাযোগের একমাত্র ভরসা হয়ে ওঠে ফোন কল। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সময় তার এমপি, মন্ত্রী ও দলীয় নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন এবং আন্দোলন দমনের নির্দেশনা দিতেন।

প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে জানা গেছে, ৫ আগস্ট ২০২৪-এ শেখ হাসিনা ভারতের দিকে পালানোর পর তার ব্যবহৃত চারটি ফোনের কল রেকর্ডসহ অসংখ্য ডিজিটাল আলামত মুছে ফেলা হয়। এটি allegedly করেন ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) তৎকালীন মহাপরিচালক জিয়াউল আহসানের সহযোগী।

বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা জানিয়েছেন, শুধু কল রেকর্ডই নয়, অডিও-ভিডিওসহ অন্যান্য ডিজিটাল প্রমাণও মুছে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে এসব আলামত উদ্ধারের চেষ্টা চলছে, এবং প্রাথমিকভাবে চারটি নম্বর নিশ্চিতভাবে শেখ হাসিনার বলে শনাক্ত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সাবেক এক পরিকল্পনা মন্ত্রীর কলও নষ্ট করা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালে ইতিমধ্যেই শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা-এর সাক্ষ্যগ্রহণ চলেছে। বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তার দাখিল করা ফোনালাপের মধ্যে উঠে এসেছে আন্দোলন দমনে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনার ইঙ্গিত, যেমন: আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো, হেলিকপ্টার দিয়ে বোম্বিং, এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আগুন দিয়ে ভয় সৃষ্টির পরিকল্পনা।