১২:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হেজসেট বলেন—“শান্তির জন্য যুদ্ধের প্রস্তুতি থাকতে হবে”।

মেরিন কর্স বেস কুয়ান্টিকোতে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বিরল শীর্ষকমানের সভায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেজসেট শীর্ষ জেনারেল ও অ্যাডমিরালদের উদ্দেশ্যে বললেন যে যারা শান্তি চান তাদেরকে যুদ্ধের জন্যও প্রস্তুত থাকতে হবে; তিনি বলেন যে আমাদের প্রস্তুতি ‘অপরিহার্য’ ও ‘তারুণ্যপূর্ণভাবে জোরালো’ হওয়া উচিত এবং সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধজয়ের জন্য সংগঠিত রাখতে হবে — একই দিনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও সভায় উপস্থিত ছিলেন ও সামরিক সংস্কারের পক্ষে সমর্থন জানালেন। এই ভাষণে হেজসেট সামরিক সংস্কৃতি এবং নিয়মাবলীতে দ্রুত পরিবর্তনের আভাস দিয়েছেন, কিছু পাক্ষিক নীতির—যেমন ডাইভারসিটি/ইনক্লুশন (DEI) ও মহিলাদের জন্য আলাদা মানদণ্ড—প্রতিবিম্ব কটাক্ষ করেছেন এবং আরও দৃঢ় শারীরিক মান, কঠোর শৃঙ্খলা ও খোলামেলা যুদ্ধভিত্তিক মনোভাবের দাবি তুলেছেন; কর্মকর্তারা বলছেন ঘটনাটি অনানুষ্ঠানিক নয়, বরং একটি পরিষ্কার সঙ্কেত যে পেন্টাগনের উচ্চপর্যায়ের কৌশলগত ধারা দ্রুত পরিবর্তিত হওয়ার দিকে যাচ্ছে। সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন এই ধরনের হুঁশিয়ারির প্রভাব কেবল টপ লেভেলের প্রস্তুতিমূলক পরিকল্পনায় সীমাবদ্ধ থাকবে না—এটি জেনারেল স্টাফের নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, নিয়মনীতি ও আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বেও প্রভাব ফেলতে পারে—তবে অন্য দিক থেকে সমালোচকরা সতর্ক করে দিচ্ছেন যে ‘প্রস্ততি’ ও ‘প্রভুত্বের’ বলে কড়া নীতি গ্রহণ করলে কূটনীতিকভাবে ঝুঁকি বাড়তে পারে এবং রাজনৈতিকভাবে ক্রমবর্ধমান বিভাজন দেখা দিতে পারে। পত্রিকাগুলোর সরাসরি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে হেজসেটের সুর ছিল স্পষ্ট: “প্রস্তুত হওয়া এবং জয়ের জন্য প্রস্তুত থাকা”—এই বার্তাটি বিশেষত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনসহ বড় ক্ষমতা প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রেক্ষাপটে মাথায় রেখে বলা হয়েছে; কত দ্রুত নীতি-পরিবর্তন বাস্তবে রূপ নেবে তা এখনই বলা যায় না, কিন্তু শনিবারের এই সভা কৌশলগত ভাবনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখছে পর্যবেক্ষকরা।

ট্যাগ

হেজসেট বলেন—“শান্তির জন্য যুদ্ধের প্রস্তুতি থাকতে হবে”।

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:২৮:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মেরিন কর্স বেস কুয়ান্টিকোতে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বিরল শীর্ষকমানের সভায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেজসেট শীর্ষ জেনারেল ও অ্যাডমিরালদের উদ্দেশ্যে বললেন যে যারা শান্তি চান তাদেরকে যুদ্ধের জন্যও প্রস্তুত থাকতে হবে; তিনি বলেন যে আমাদের প্রস্তুতি ‘অপরিহার্য’ ও ‘তারুণ্যপূর্ণভাবে জোরালো’ হওয়া উচিত এবং সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধজয়ের জন্য সংগঠিত রাখতে হবে — একই দিনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও সভায় উপস্থিত ছিলেন ও সামরিক সংস্কারের পক্ষে সমর্থন জানালেন। এই ভাষণে হেজসেট সামরিক সংস্কৃতি এবং নিয়মাবলীতে দ্রুত পরিবর্তনের আভাস দিয়েছেন, কিছু পাক্ষিক নীতির—যেমন ডাইভারসিটি/ইনক্লুশন (DEI) ও মহিলাদের জন্য আলাদা মানদণ্ড—প্রতিবিম্ব কটাক্ষ করেছেন এবং আরও দৃঢ় শারীরিক মান, কঠোর শৃঙ্খলা ও খোলামেলা যুদ্ধভিত্তিক মনোভাবের দাবি তুলেছেন; কর্মকর্তারা বলছেন ঘটনাটি অনানুষ্ঠানিক নয়, বরং একটি পরিষ্কার সঙ্কেত যে পেন্টাগনের উচ্চপর্যায়ের কৌশলগত ধারা দ্রুত পরিবর্তিত হওয়ার দিকে যাচ্ছে। সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন এই ধরনের হুঁশিয়ারির প্রভাব কেবল টপ লেভেলের প্রস্তুতিমূলক পরিকল্পনায় সীমাবদ্ধ থাকবে না—এটি জেনারেল স্টাফের নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, নিয়মনীতি ও আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বেও প্রভাব ফেলতে পারে—তবে অন্য দিক থেকে সমালোচকরা সতর্ক করে দিচ্ছেন যে ‘প্রস্ততি’ ও ‘প্রভুত্বের’ বলে কড়া নীতি গ্রহণ করলে কূটনীতিকভাবে ঝুঁকি বাড়তে পারে এবং রাজনৈতিকভাবে ক্রমবর্ধমান বিভাজন দেখা দিতে পারে। পত্রিকাগুলোর সরাসরি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে হেজসেটের সুর ছিল স্পষ্ট: “প্রস্তুত হওয়া এবং জয়ের জন্য প্রস্তুত থাকা”—এই বার্তাটি বিশেষত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনসহ বড় ক্ষমতা প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রেক্ষাপটে মাথায় রেখে বলা হয়েছে; কত দ্রুত নীতি-পরিবর্তন বাস্তবে রূপ নেবে তা এখনই বলা যায় না, কিন্তু শনিবারের এই সভা কৌশলগত ভাবনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখছে পর্যবেক্ষকরা।